loaderimg
image

Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist l ডা. মরিয়ম আক্তার সুমি- বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ

Best Infertility Specialist in Mymensingh
Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist

এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য) এফসিপিএস (বন্ধ্যাত্ব)
বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ এন্ড ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চেম্বারঃ
প্রান্ত ডায়াগনোস্টিক সেন্টার PRANTO DIAGNOSTIC CENTRE
২১১, চরপাড়া [হাসপাতাল গেইটের বিপরীতে) ময়মনসিংহ।

সিরিয়ালের জন্যঃ
01888107049
01327786991
01712-942893
ইমেইল: prantode@yahoo.com.uk


রোগী দেখার সময়ঃ
প্রতিদিন বিকাল ৩.০০ হতে রাত ৯.০০টা পর্যন্ত
শুক্রবার বন্ধ

Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist

Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist
Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist

Best Gynecologist in Mymensingh 2024

বন্ধ্যাত্বের জরুরী পরামর্শ

বন্ধ্যাত্ব আমাদের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিগণিত। বন্ধ্যাত্বের মূলত মহিলাদের বিভিন্ন প্রজনন সংক্রান্ত রোগ বোঝায় যা তাদের জীবনে বিভিন্ন সময়ে প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে, বন্ধ্যাত্ব এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন মহিলা বা পুরুষ প্রজননক্ষম হলেও গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে। এই প্রবন্ধে বন্ধ্যাত্ব রোগীর জন্য জরুরি পরামর্শ নিয়ে আলোচনা করা হবে।

বন্ধ্যাত্বের কারণ ও লক্ষণ

স্ত্রীরোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে হরমোনজনিত সমস্যা, সংক্রমণ, প্রজনন অঙ্গের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS), এন্ডোমেট্রিওসিস, এবং জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা। লক্ষণগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে যেমন:

  1. অনিয়মিত মাসিক চক্র: মাসিকের সময় অস্বাভাবিক রক্তপাত বা মাসিকের বন্ধ হয়ে যাওয়া।
  2. তলপেটে ব্যথা: বিশেষ করে মাসিকের সময় বা যৌনমিলনের সময় তলপেটে ব্যথা।
  3. স্রাব বা স্রাবের পরিবর্তন: অস্বাভাবিক স্রাব বা দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব।
  4. যৌনমিলনে অস্বস্তি: যৌনমিলনের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি।
  5. অন্তঃস্রাব গ্রন্থির পরিবর্তন: স্তন গ্রন্থির অস্বাভাবিক পরিবর্তন বা স্তন ব্যথা।
  6. হরমোনজনিত সমস্যা: হরমোনের অস্বাভাবিকতা।
  7. শারীরিক সমস্যা: ডিম্বাণুর মুক্তিতে সমস্যা বা শুক্রাণুর গুণগত মানের সমস্যা।
  8. জরায়ুর অস্বাভাবিকতা: জরায়ুর আকার বা স্থানের অস্বাভাবিকতা।
  9. অপর্যাপ্ত জীবনযাপন পদ্ধতি: অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান, মদ্যপান, এবং অপর্যাপ্ত খাদ্যাভ্যাস।
  10. পুরুষ বন্ধ্যাত্ব

লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভধারণে সমস্যার মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যেমন:

  1. গর্ভধারণে সমস্যা: নিয়মিত যৌনমিলনের পরেও এক বছরের বেশি সময় ধরে গর্ভধারণ না হওয়া।
  2. মাসিক চক্রের সমস্যা: অনিয়মিত মাসিক চক্র।
  3. অস্বাভাবিক স্রাব: মাসিকের সময় বা যৌনমিলনের পর অস্বাভাবিক স্রাব।

পরামর্শ

  1. সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ: মাসিক চক্র বা প্রজনন সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যায় সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
  2. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং মানসিক চাপ কমানো।
  3. পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে শরীরকে বিশ্রাম দেয়া।
  4. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করা।
  5. সঠিক ওষুধ ও চিকিৎসা: ডাক্তার দ্বারা প্রস্তাবিত সঠিক ওষুধ ও চিকিৎসা গ্রহণ করা।
  6. মানসিক সাপোর্ট: মানসিক সমর্থনের জন্য পরিবার ও বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা এবং প্রয়োজনে পরামর্শদাতা বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া।

Dr. Mariam Akter Sumi- Infertility Specialist

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা

বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা নির্ভর করে তার কারণ ও রোগীর শারীরিক অবস্থার উপর। সাধারণত নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহৃত হয়:

  1. হরমোন থেরাপি: হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে হরমোন থেরাপি।
  2. ঔষধ ও ওষুধ: ডিম্বাণুর মুক্তির জন্য বিশেষ ঔষধ বা ওষুধ।
  3. ল্যাপারোস্কোপি: জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের শারীরিক সমস্যা ঠিক করার জন্য ল্যাপারোস্কোপি।
  4. IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন): বন্ধ্যাত্ব সমস্যার জন্য IVF একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।
  5. আইইউআই (ইন্ট্রাউটেরিন ইনসেমিনেশন): শুক্রাণু সরাসরি জরায়ুতে স্থাপন করার পদ্ধতি।

জীবনযাপনে পরিবর্তন

স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব মোকাবেলার জন্য জীবনযাপনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা যেতে পারে:

  1. সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
  2. ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজন বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  3. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।
  4. পানি পান: প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পানি শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

বন্ধ্যাত্ব নির্ণয়ে পরীক্ষাগুলি

বন্ধ্যাত্বের সঠিক কারণ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা প্রয়োজন হতে পারে। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

  1. রক্ত পরীক্ষা: হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করতে।
  2. আল্ট্রাসাউন্ড: জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের অবস্থা নির্ণয় করতে।
  3. HSG (হিস্টেরোসালপিংগ্রাফি): ফ্যালোপিয়ান টিউবের অবস্থা নির্ণয় করতে।
  4. ল্যাপারোস্কোপি: জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং ফ্যালোপিয়ান টিউবের অবস্থা আরও ভালোভাবে দেখার জন্য।
  5. সিমেন অ্যানালিসিস: শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি এবং গুণমান নির্ণয় করতে।

সামাজিক ও মানসিক সাপোর্ট

বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগের প্রভাব শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকও। এই পরিস্থিতিতে সামাজিক এবং মানসিক সাপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিবার, বন্ধু, এবং সমর্থন গোষ্ঠী থেকে সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। মানসিক সাপোর্টের জন্য নিচের পরামর্শগুলি মেনে চলা যেতে পারে:

  1. পরামর্শদাতা: প্রয়োজনে পরামর্শদাতার সাহায্য নিন।
  2. সমর্থন গোষ্ঠী: বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ সম্পর্কিত সমর্থন গোষ্ঠীতে যোগ দিন।
  3. মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম: মানসিক শান্তি বজায় রাখতে মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম করুন।
  4. নিজেকে সময় দিন: নিজের জন্য সময় বের করুন এবং যে কাজগুলি আপনাকে আনন্দ দেয়, সেগুলি করুন।

আধুনিক চিকিৎসার পদ্ধতি

আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি স্ত্রীরোগ এবং বন্ধ্যাত্বের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি এনেছে। কয়েকটি আধুনিক পদ্ধতি নিম্নরূপ:

  1. অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি (ART): IVF এবং ICSI (ইন্ট্রাসাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইনজেকশন) এর মতো পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত।
  2. প্রাকৃতিক থেরাপি: হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদিক থেরাপি কিছু ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
  3. জেনেটিক কাউন্সেলিং: বংশগত রোগের ঝুঁকি নির্ণয়ে সাহায্য করে।
  4. ফার্টিলিটি সংরক্ষণ: যেসব মহিলারা ভবিষ্যতে গর্ভধারণ করতে চান, তাদের জন্য ডিম্বাণু সংরক্ষণ।
  5. Intrauterine insemination (IUI)

উপসংহার

স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্ব একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হলেও সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলা করা সম্ভব। সচেতনতা এবং সময়মতো ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে মহিলারা তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক সুস্থতা স্ত্রীরোগ ও বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সর্বোপরি, নিজেকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

best infertility specialist in bangladesh

Rate us and Write a Review

Browse

Your review is recommended to be at least 140 characters long

image

Show all timings
  • Saturday03:00 PM - 09:30 PM
  • Sunday03:00 PM - 09:30 PM
  • Monday03:00 PM - 09:30 PM
  • Tuesday03:00 PM - 09:30 PM
  • Wednesday03:00 PM - 09:30 PM
  • Thursday03:00 PM - 09:30 PM

imageYour request has been submitted successfully.

image